রাজধানীর পুরান ঢাকায় গুলিস্তান এলাকার সিদ্দিক বাজারে একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৭০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে ঢাকার গুলিস্তানে নর্থ সাউথ রোডের বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তিদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। তবে নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯ জন পুরুষ আর ২ জন নারী রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিস্ফোরণে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণের পর ধংসস্তুপ আশেপাশের এলাকায় আঘাত করে।

বিবিসি জানায়, বিস্ফোরণে সড়কের ওপরে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাসের একপাশে আঘাত করলে জানালার সব কাঁচ ভেঙে যায় এবং যাত্রীদের অনেকে আহত হন। এছাড়া ভবনটির সামনে থাকা বেশ কয়েকটি ভ্যান ও রিকশার চালক ও যাত্রীসহ অনেক পথচারী আহত হয়েছে।

এই বিস্ফোরণের পর সেখানে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে একটি টাইলস ও স্যানিটারি দোকান ছিল। এছাড়া আশেপাশে আরো বেশ কিছু টাইলস ও স্যানেটারি দোকান রয়েছে।

গুলিস্তানে বিস্ফোরণের পর উৎসুক জনতার ভিড়। ছবি : সংগৃহীত

ফায়ার সার্ভিস জানায়, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের টিম সেখানে গিয়ে নিহতদের মরদেহ আর বহু আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

তবে কেন ও কীভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস।

বিস্ফোরণের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমি ব্র্যাক ব্যাংকের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ শুনে বিল্ডিংয়ের সামনে এসে দেখি, বিল্ডিং থেকে প্রচণ্ড ধোয়া উড়ছে। সেখানকার ইট, কাঠ ছিটকে এসে সামনে যারা ছিল, তাদের গায়ে পড়েছে, কেউ কেউ চাপা পড়েছে। বিল্ডিংয়ের সামনে কয়েকটা ভ্যান ছিল, সেগুলোর কয়েকজন চালক দেয়ালের নিচে চাপা পড়েছে। সামনের রাস্তায় একটা বাস জ্যামে দাঁড়িয়েছিল, সেই বাসটির এই পাশের সবগুলো কাঁচ ভেঙে পড়েছে। বাসে যারা ছিল, তাদেরও অনেকে আহত হয়েছে।

গত এক মাসের মধ্যে ঢাকা ও বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে, গত রোববার ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হন। তার আগের দিন শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিস্ফোরণ ও আগুন লেগে এ পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।

এসব ঘটনার বাইরেও বিগত কয়েক বছরে বড় ধরণের বিস্ফোরণের খবর গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। তবে সবকটি বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে জমে থাকা গ্যাসের বিষয়টিকে দায়ী করা হচ্ছে।

Muktojanala

সমসাময়িক সকল বিষয়ের মুক্ত তথ্যের অনলাইন প্লাটফর্ম।

https://www.muktojanala.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *