কেনিয়ায় সামুদ্রিক শৈবাল চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন উপকূলীয় অঞ্চলের নারীরা। সমুদ্রে মাছ ধরার মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পুরুষ জেলেদের আয় কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নারীদের রোজগার পরিবারের ভরণ-পোষণে সহায়তা করছে।

প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক শৈবাল চাষ শুরু হয় কেনিয়ার দক্ষিণ উপকূলে ।

দীর্ঘদিন ধরে সামুদ্রিক শৈবাল চাষকে মাছ ধরার চেয়ে নিকৃষ্ট কাজ হিসেবে বিবেচনা করতেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে মাছের মজুদ কমে যাওয়ায় শৈবাল চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ে তাদের।

কেনিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শৈবাল চাষ। সমুদ্রে মাছ শিকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া ও মাছের মজুদ কমায় আয় কমছে পুরুষের। এতে শৈবাল চাষে ঝুঁকছেন উপকূলীয় অঞ্চলের নারীরা, সাবলম্বী হচ্ছেন অর্থনৈতিকভাবে। শৈবাল চাষ পরিবারের ভরণ-পোষণে যেমন ভূমিকা রাখছে, পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় দারিদ্রের হার কমাতে সহায়তা করছে।

মূলত নারীরাই সামুদ্রিক শৈবাল চাষ করে থাকেন। এছাড়া ঐতিহ্যগতভাবে তাদের মাছ ধরার অনুমতি নেই।

আমার সন্তানের বাবা নেই। শৈবাল চাষই আমার আয়ের একমাত্র উৎস। যা আমাকে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে।
আমার স্বামী আমাকে যে টাকা দেয় তা দিয়ে সংসার চলে না। এক পর্যায়ে আমি শৈবাল চাষ শুরু করি। যা আমাকে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করে।

প্রতি ৪৫ দিনে শৈবাল ঘরে তোলা সম্ভব হয়। বেশিরভাগ কাঁচামাল দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের বাজারে রপ্তানি করা হয়। শুকনো শৈবালের নির্যাস প্রসাধনী এবং ওষুধ শিল্পের পাশাপাশি সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

আবার আবহাওয়াজনিত কারণে ফসলের কোনও ক্ষতিও হয় না।

সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্মকর্তা কিসোয়ালি নাসোরো বলেন, শুকনো জমিতে চাষাবাদে ফলন খুব বেশি হয় না। যেহেতু বন্য প্রাণী এবং চোরের আক্রমণের শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, এই বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

শৈবাল চাষ উপকূলীয় এলাকায় দারিদ্রের হার কমাতে সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

Muktojanala

সমসাময়িক সকল বিষয়ের মুক্ত তথ্যের অনলাইন প্লাটফর্ম।

https://www.muktojanala.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *