মুক্ত জানালা ডেস্ক
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসভবনে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন টাইগার ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। পাশাপাশি পিঠের ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় আসন্ন এশিয়া কাপও খেলবেন না তিনি।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পিঠের সমস্যায় ভুগছিলেন তামিম। এজন্য জাতীয় দলের হয়ে বেশ কয়েকটি সিরিজেও খেলতে পারেননি তিনি। পিঠের ইনজুরি থেকে সুস্থ হতে সম্প্রতি লন্ডনে চিকিৎসা করিয়েছেন তামিম।
অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর তামিম সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন, আজকে বোর্ড সভাপতি পাপন ভাই ও জালাল ভাইয়ের সাথে আমার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল। আমার সমস্যা নিয়ে, আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আমার কি সমস্যা, কি হবে সামনে, সবকিছু নিয়ে। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা আমি নিজে থেকে তাদের বলেছি। আজ থেকে আমি ওয়ানডে দলের অধিনায়ক থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আমার কাছে মনে হয় ইনজুরিও একটা ইস্যু। এই মুহূর্তে আমি ইনজেকশন দিয়ে এসেছি। কিন্তু ইনজেকশনগুলাও হিট অ্যান্ড মিসের মতো।
তামিম আরও বলেন, দলের স্বার্থে আমার অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়াটাই ভালো হবে। আমরা আজকে প্রধানমন্ত্রীর সাথেও ফোনে কথা বলেছি। উনাকে আমার পুরো ব্যাপারটা জানিয়েছি। উনি আমার ব্যাপারটা বুঝেছেন। উনি আমাকে বুঝিয়ে যা বলার খুব সুন্দর করে আমাকে বুঝিয়ে বলেছেন। এখন আমি খেলায় ভালোভাবে মনোযোগ দেব এবং নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো।
গত ৫ জুলাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের পরদিন হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু পরের দিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার পর অবসর প্রত্যাহার করে নেন তামিম।
অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৭টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। তার অধীনে ২১টি জয়, ১৪টি হার ও ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। জয়ের হার ৫৬.৭৫।
বাংলাদেশ ক্রিকেট অধিনায়ক হিসেবে যাকে আলাদা জায়গা দেওয়া হয়, সেই মাশরাফি বিন মুর্তজার চেয়ে তামিমের জয়ের শতাংশ মাত্র দশমিক শূন্য ৬ কম। ৮৮ ম্যাচে ৫০ জয়ে অধিনায়ক মাশরাফির সাফল্যের হার ৫৬.৮১।
তামিম পূর্ণ মেয়াদে বাংলাদেশের অধিনায়ক হন ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এর আগেও ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তবে সেটা আপত্কালীন।
২০১৯ বিশ্বকাপের পরপরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফির চোটের কারণে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়েছিল তামিমকে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারা তামিম পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন শুরু করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে।
এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ হারে তামিমের বাংলাদেশ। তবে সেই হারের পর শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।