মোবাইল ফোন ও মানুষ এখন একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এই অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ককে টেকসই করতে আমরা খুব বেশি সচেতন নই। কিন্তু একটু সচেতন ব্যবহারই মোবাইল ফোনের আয়ু বাড়িয়ে ফেলতে পারে কয়েকগুণ। এই দশটি টিপস মেনে চলুন, দেখবেন আপনার ডিভাইসটি দীর্ঘদিন আপনাকে সেবা দিচ্ছে।
প্লাগ ইন
অনেকেরই অভিযোগ, ফোনের চার্জার কয়েক মাসের বেশি টেকে না। আসলে চার্জে দেওয়ার সময় পোর্টে বার বার ঘষা লাগলে চার্জার দ্রুত নষ্ট হয়। তাই মোবাইলে চার্জার ঢুকানোর সময় তাড়াহুড়া করা যাবে না।
সফটওয়্যার আপডেট
ফোনে আপডেটের নোটিফিকেশন আসলে তা এড়ানো ঠিক নয়। অ্যাপ আপডেট করলে অনেক বাগ ঠিক হয়, নিত্য নতুন ফিচারও পাওয়া যায়। স্টোরেজ দখল করলেও অ্যাপ আপডেট করার কোনো ক্ষতিকর দিক নেই।
সূর্যের আলো
রোদ পোহালে শরীরে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে ফোনের জন্য সূর্যের আলো মোটেও উপকারি নয়। দীর্ঘক্ষণ ফোন রোদে থাকলে তা গরম হয়ে যায়। বেশি উত্তপ্ত হলে ফোনের সার্কিট বোর্ড গলে যাওয়া, স্ক্রিন ফেটে যাওয়া ও ব্যাটারি বিষস্ফোরণের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পেছনের পকেটে ফোন
ফোন রাখার জন্য প্যান্টের পেছনের পকেট মোটেও ভালো কোনো জায়গা নয়। পকেটমারের খপ্পরে পরার ভয় তো থাকেই সেই সাথে ভুল করে ফোনের উপর বসে পরারও আশংকা থাকে।
বজ্রপাতের সময় ফোন চার্জ
বজ্রপাত হলে পাওয়ার কর্ড দিয়ে বিদ্যুৎ ফোনে ঢুকতে পারে। তাই বজ্রপাতের সময় ফোন চার্জে না দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।
ভাইব্রেশন
সারাক্ষণ ফোন ভাইব্রেশনে দিয়ে রাখলে ব্যাটারি দ্রুত খরচ হয়। ফোনের আয়ু কমে যায়। তাই প্রয়োজন হলে ফোন সাইলেন্ট রাখা ভালো।
লো সিগনাল
সিগনাল দুর্বল থাকলে ফোন থেকে রেডিও ওয়েব বেশি নির্গত হয়। এ কারণে ফোন গরমও বেশি হয়। এ সময় তাই হেডফোন ব্যবহার করা ভালো।