একটি বা দুটি নয়, বিদায়ী বছরে সন্ধান মিলেছে ২৩৫টি নতুন গ্রহের। যেগুলো আকার-আয়তনের দিক থেকে একেকটি পৃথিবীর সমান। এ নিয়ে এ পর্যন্ত আবিস্কৃত গ্রহের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ২৪০টিতে। রোববার টুইটবার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

সৌরমণ্ডলের বাইরে রয়েছে অসংখ্য গ্রহ। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় এগুলোকে বলা হয় এক্সোপ্ল্যানেট।

মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের কল্যাণে এক বছরে অনেক বেড়েছে আবিষ্কৃত গ্রহের সংখ্যা। ১৯৯১ থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত আবিস্কৃত গ্রহের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৫টি। বিদায়ী বছরে মিলেছে আরও ২৩৫টি নতুন গ্রহের সন্ধান। সে হিসেবে বর্তমানে মোট গ্রহ ৫ হাজার ২৪০টি।

নাসার দাবি, নতুন আবিস্কার হওয়া ৪ শতাংশ গ্রহ পাথর বা কঠিন শিলা দিয়ে গঠিত, যা পৃথিবী ও প্রতিবেশি গ্রহ মঙ্গলের মতো। বাকি গ্রহগুলো গ্যাসীয় গোলক।

টুইটবার্তায় নাসা জানিয়েছে, ২০২২ সালে সর্বশেষ যে গ্রহটি আবিষ্কৃত হয়েছে, তার নাম এইচ/ডি-ওয়ান/জিরো/নাইন/এইট/থ্রি/থ্রি বি।আয়তনের দিক থেকে এটি সৌরজগতের গ্রহ নেপচুনের সমান। গ্যাসীয় গ্রহটি যে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, সেটির আকার-আয়তন ও বয়স সূর্যের মতোই।

এছাড়া, শিলাগঠিত গ্রহগুলোর দুটিতে পৃথিবীর মতো পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি নাসার।

নতুন বছরে আরও অনেক গ্রহ আবিষ্কারের আশা নাসার। এছাড়া, সেগুলো বসবাসযোগ্য কিনা তা নিয়েও গবেষণা বাড়বে বলে জানিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।

Muktojanala

সমসাময়িক সকল বিষয়ের মুক্ত তথ্যের অনলাইন প্লাটফর্ম।

https://www.muktojanala.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *