দরজায় কড়া নাড়ছে শীতকাল। সেই সঙ্গে ধেয়ে আসছে রোগবালাই। গরমকালের তুলনায় শীতকালে রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত রোগ যেমন- সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, ফ্লু ইত্যাদি রোগ শীতকালে যেন পিছু ছাড়তে চায় না।
শীতকালকে বলা হয়ে থাকে উৎসবের মৌসুম। উৎসবে আনন্দ উদযাপনে শারীরিকভাবে ফিট থাকাটাও অনেক জরুরি। তাই রোগবালাইকে দূরে ঠেলে শীতকে উপভোগ করতে খেয়াল রাখুন কয়েকটি বিষয়ের ওপর।
পোশাক
নভেম্বরের প্রায় শেষ। সকালে শিশির কণা আর রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা আবহাওয়া জানান শীতের আগমনী বার্তা। ডিসেম্বরের শুরুতেই সাধারণত শীত নামতে শুরু করবে। তাই এই সময়টায় বাইরে বের হলে একটু মোটা পোশাক পরাই ভালো। ফুল হাতা জামা আর মেয়েরা মাথায় স্কার্ফ জাতীয় কিছু জড়িয়ে নেওয়া ভালো। তাহলে সর্দি-কাশি হওয়ার ভয় থাকে না।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
শীতকালে শুধু ঠান্ডাজনিত অসুখই হয়, বিষয়টা এমন নয়। এই মৌসুমটায় ভাইরাসজনিত অনেক অসুখও হানা দেয়। তাই সবকিছুর আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। নিজে পরিষ্কার রাখুন। বাইরে থেকে ফিরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখতে পারেন। খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বাইরে কাজের থেকে ফিরেই ফ্রিজ খুলে ঢক ঢক করে ঠান্ডা পানি পান করা আমাদের নিত্যদিনের অভ্যাস। সাবধান! শীতকাল এটা একবারেই করা যাবে না। শীতকালে যতটা সম্ভব কুসুম গরম পানি পান করবেন।
গরম পানিতে গোসল নয়
শীতকাল আসার আগেই অনেকে গরম পানিতে গোসল করা শুরু করে দিয়েছেন। অনেকে সামান্য একটু শীত পড়লেই গরম পানি ছাড়া গোসল না করার পন করেন। এটা একদমই ঠিক না। খুব বেশি অসহনীয় মাত্রায় শীত না পড়লে গরম পানিতে গোসল নয়। ডাক্তাররাও এটা বলে থাকেন। কারণ প্রতিদিন গরম পানিতে গোসল করলে পেট গরম হয়ে অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভাজাপোড়াকে না
শীতকাল মানেই ভাজাপোড়া খাওয়ার মৌসুম। সন্ধ্যায় নাস্তা থেকে শুরু করে প্রায় সব নাস্তায় কোনো না কোনো ভাজাপোড়া আইটেম চাই ই চাই! কিন্তু তেলে ভাজা এসব খাবারে গ্যাস্টিস-আলসারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। ফল, সবুজ শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে।
লেখা : আনন্দবাজার অবলম্বনে