
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেরও নানা পরিবর্তন হয়। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর ত্বকের চামড়া কুঁচকে যেতে শুরু করে। চলে যেতে থাকে ত্বকের টানটান ভাবও। ত্বকের এরূপ পরিবর্তন ঘটে থাকে সাধারণত কোলাজেনের পরিমাণ কমতে থাকার কারণে।
ত্বক পরিচর্যায় কোলাজেন প্রোটিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাইরের খাবার খাওয়া, দূষণ, ধূমপান করার মতো কিছু অভ্যাস কোলাজেন উৎপাদনের হার অনেকটা কমিয়ে দেয়। ফলে ত্বক শিথিলতা হারায়। এর ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে তাই ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি খাবারের উপরে।
লেবুজাতীয় ফল
এই প্রকার ফলে ভালো মাত্রায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা প্রত্যক্ষভাবে শরীরের কোলাজেন উৎপাদনের হার বৃদ্ধি করে। লেবুজাতীয় ফলে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে জমে থাকা টক্সিন বার করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে নিয়মিত পাতে রাখতেই হবে লেবুজাতীয় ফল।
সবুজ শাকসবজি
শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচকগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে ম্যাঙ্গানিজ। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর মাত্রায় ম্যাঙ্গানিজ থাকে। তাই ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতেই হবে পালং, বাঁধাকপি, ব্রকোলির মতো শাকসবজি।

মাছ
মাছে অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। তাছাড়া জিঙ্ক ও কপারের মতো খনিজ পদার্থও থাকে। শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করতে এই প্রকার খনিজের প্রয়োজন আছে। এগুলো কোলাজেন প্রোটিন ধ্বংস হতে বাধা দেয়। এর বাইরে মাছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও থাকে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে যা দারুণ উপকারী।
আনারস
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আনারস যত্ন নেয় শরীরের। এতে জলের পরিমাণও অনেকটা বেশি। শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে আনারস দারুণ কার্যকর। ত্বকের প্রতিটি কোষ সচল রাখতেও আনারস কার্যকর। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আনারস, প্রত্যক্ষভাবে শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের হার বাড়ায়। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বার করে দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে খেতে পারেন আনারস।
লেখা : আনন্দবাজার অবলম্বনে