যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এবার যুক্তরাজ্যেও বন্ধে হতে যাচ্ছে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে দেশটির সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
বিবিসি জানায়, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও কিছু পশ্চিমা দেশের পর যুক্তরাজ্যও সরকারি মন্ত্রী এবং আমলাদের ফোনে টিকটক নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রে সরকারী কর্মচারীদেরকে তাদের অফিস থেকে দেয়া ফোন টিকটক ইনস্টল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডাতেও সরকারি আমলাদের ফোনে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন যুক্তরাজ্যও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
টিকটক বলছে, যুক্তরাজ্য এরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে সম্পূর্ণ ভুলধারণাবশত আশঙ্কার ওপর ভিত্তি করে এবং এর পেছনে মনে হচ্ছে বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক বিষয় কাজ করছে।
টিকটক দাবি করে বিশ্বজুড়ে একশো কোটির বেশি মানুষ তাদের অ্যাপ ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের দশ কোটি ব্যবহারকারী আছে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে তাদের অ্যাপ দারুণ জনপ্রিয়।
মানুষ এখন টিকটকে যে পরিমাণ সময় কাটায়, সেটি ইউটিউব, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মতো অ্যাপকে ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদেশগুলো যেভাবে টিকটক নিষিদ্ধ করতে চাইছে, সেটিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে বর্ণনা করছেন সমালোচকরা।
টিকটকের মূল মালিক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স। গত কয়েক বছরে এটি গোটা বিশ্বেই তুমুল জনপ্রিয় এক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই অ্যাপটির বিরুদ্ধে বেশ কঠোর অবস্থানে গেছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে। এসব দেশ বলছে, চীনা কর্মকর্তারা এই অ্যাপটির মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে।
এদিকে, বুধবার (১৫ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্র টিকটক কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দিয়েছে যেন তারা চীনা কোম্পানির মালিকানা থেকে বেরিয়ে আসে। অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়ায় চীন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত টিকটককে অযৌক্তিকভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা বন্ধ করা।