ইউক্রেনের খারকিভে তৈরি করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের কবরস্থান। দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ভয়াবহতা তুলে ধরতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এসব ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ হিসেবে কাজে আসবে বলেও জানান তারা।

রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর যুদ্ধের ছাপ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশজুড়ে। এবার এই যুদ্ধের ভয়াবহতার জানান দিতে ভিন্ন এক উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে এজন্য তৈরি হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের কবরস্থান।

কবরস্থানটিতে এক হাজারের বেশি ক্ষেপনাস্ত্র এবং এগুলোর অংশ রয়েছে। এসব ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে গোটা খারকিভ। প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ।

খারকিভের প্রসিকিউটর অফিসের মুখপাত্র দিমিত্র চুবেনকো বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের শহরের প্রশাসনিক ভবন, স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেনগুলোতেও এসব ছোঁড়া হয়। এগুলোর আঘাতে খারকিভে ৪৪ শিশুসহ মোট ১,৭০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ধারণা এই কবরস্থান রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তথ্য সরবরাহে সাহায্য করবে।

দিমিত্র চুবেনকো আরও বলেন, এই ক্ষেপনাস্ত্রগুলো রাশিয়ার বর্বতার প্রমাণ। মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এগুলো ব্যবহার করা হবে। এতে করে বিশ্ব জানতে পারবে রাশিয়া আমাদের সাথে কতটা নিন্দনীয় কার্যক্রম চালিয়েছে।

এখানে ক্ষেপনাস্ত্রগুলো আকার ও উচ্চতা অনুসারে সাজানো হয়েছে। এছাড়া খারকিভে প্রথম আঘাত হানা ক্ষেপনাস্ত্রও আছে এই কবরস্থানে। যুদ্ধ শেষে এসব ক্ষেপনাস্ত্র জাদুঘরের অংশ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Muktojanala

সমসাময়িক সকল বিষয়ের মুক্ত তথ্যের অনলাইন প্লাটফর্ম।

https://www.muktojanala.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *