২০২৬ সালের মধ্যে শতভাগ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক সেবা খাতে লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করা জরুরি। তা না হলে জাতীয় অন্তর্ভুক্তি কৌশলের লক্ষ্যসমূহ অর্জন এবং ভিশন-২০৪১ অর্জন সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘জেন্ডার রেপনসিভ ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তারা।

২০২৬ সালের মধ্যে সব পূর্ণ বয়স্ক মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মধ্যে নিয়ে আসা এবং জাতীয় অন্তর্ভুক্তি কৌশল (এনএফআইএসবি) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিআইবিএম এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরডি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

মূলত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে নারীরা কেন পিছিয়ে, তা খুঁজে বের করতেই এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। যাতে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।

নারীদের আর্থিক সেবায় অন্তর্ভুক্তি শীর্ষক অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বিআইবিএমএর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে নারীরা অনেক পিছিয়ে আছে। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যা ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানের ব্যাকগ্রাউন্ড নোট উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। জেন্ডার গ্যাপ ইন ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন (জিজিআইএফআই) প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন সিআরডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. মোকলেসুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকার এবং অন্যরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি তুলে ধরেন। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলে ২০৩০ সালের এসডিজি লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে। ৮০ জন সিনিয়র ব্যাংকার, শিক্ষাবিদ, গবেষক, বিআইবিএমএর অনুষদ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

Muktojanala

সমসাময়িক সকল বিষয়ের মুক্ত তথ্যের অনলাইন প্লাটফর্ম।

https://www.muktojanala.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *